বান্দরবানে জেরীর মনোনয়ন নিশ্চিত

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ র্নিবাচনে বান্দরবান আসন থেকে মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরী। বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষনা দেয়া হয়। একই সাথে আরো ২০৫ টি আসনে চুড়ান্ত মনোনয়ন প্রাপ্তদের নাম ঘোষনা করেন বিএনপি মহাসচিব র্মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এই ঘোষনার মধ্য দিয়ে বান্দরবান আসনে বিএনপির দুই কান্ডারী সাচিং প্রু জেরী ও মাম্যাচিং এর মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে যে সংশয় চলে আসছিল তারও অবসান হলো।
এদিকে সাচিংপ্রু জেরীর মনোনয়ন নিশ্চিত হবার খবরে জেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অনেককেই উচ্ছাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তারা বলছেন, মনোনয়ন নিশ্চিত হবার পর আগামি নির্বাচনে বান্দরবানে প্রার্থী নিয়ে আর কোন জটিলতা রইলো না। ফলে এখন থেকে নির্বাচনী মাঠে কাজ করতে আর কোন অসুবিধা হবে না।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা বলেন, “এবারের নির্বাচন চেয়ারর্পাসন ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির নির্বাচন, গণতন্ত্র রক্ষার র্নিবাচন। কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে মনোনিত ব্যক্তির পক্ষে কাজ করার জন্য। আমরা সকলেই ভেদাভেদ ভুলে দল মনোনিত ব্যক্তির পক্ষে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিতে কাজ করতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে আগামি ১১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের করণীয় স¤পর্কে র্নিদেশনা দেয়া হবে।
সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দীন বলেন, আগামি নির্বাচনে আমরা দলীয় প্রার্থী সাচিংপ্রুর পক্ষে কতটুকু কাজ করবো তা নির্ভর করবে তাদের আন্তরিকতার ওপর। তারা ঢাকলে আমরা সাড়া দেবো। না ডাকলেও ধানের শিষকে বিজয়ী করতে কাজ করবো। কারণ এবারের নির্বাচন জেরী বা মাম্যাচিংএর নয়। এবারের নির্বাচন দেশনেত্রীর মুক্তি নির্বাচন।
জেলা বিএনিপ’র যুগ্ন সম্পাদক মুজিবুর রশীদ বলেন, আমাদের নেতা রাজপুত্র সাচিংপ্রু মনোনয়ন পাবেন সে বিশ্বাস আমাদের ছিল। আগামি নির্বাচনে আমরা সকলে দ্বিধা দ্বন্দ ভুলে গণতন্ত্রে মুক্তির আন্দোলনে বিজয়ী হতে কাজ করবো।
দীর্ঘ কয়েক যুগেরও বেশি সময় ধরে বান্দরবানে বিএনপির রাজনীতি রাজপুত্র সাচিংপ্রু জেরী ও রাজপুত্র বধু মাম্যাচিং এর মধ্যে দলীয় পদ নিয়ে দ্বন্দ চলে আসছিল। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে লবিং করে আসছিলেন মাম্যাচিং ও জেরী। এর আগে দলীয় মহাসচিবের স্বাক্ষর জটিলতার কারণ দেখিয়ে মাম্যাচিং এর মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এদিকে জেরী-মাম্যাচিং অনুসারী নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিনের ভেদাভেদ ভুলে নির্বাচনে মাঠে আসলেই কতটুকু কাজ করবেন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

শেয়ার করুন