বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু খাল থেকে নিখোঁজ নৌ কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ (২৩) ও কলেজছাত্রী জান্নাত আরার (১৮) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টার দিকে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের নিয়াক্ষ্যং পাড়ার কাছে খালের পানিতে সাইফুল্লাহর মরদেহটি দেখতে পেয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে সেনা সদস্যরা গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
বান্দরবান সেনা রিজিয়নের কর্মকর্তা (জিএসও-২) মেজর ইফতেখার জানান, উদ্ধার হওয়া মরদেহটি নৌ কর্মকর্তা সাব-লেফটেন্যান্ট সাইফুল্লাহর। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা খালের পানি থেকে সেটি উদ্ধার করেছে।
এরপর পাইন্দু খালেরই অন্য জায়গায় জান্নাত আরার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। দুপুরের পর সেই মরদেহটিও উদ্ধার করেন পুলিশ, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের সদস্যরা।
রুমা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী জানান, স্থানীয়রা পাইন্দু খালে জান্নাত আরার মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাদেরকে খবর দেয়। জায়গাটি নিয়াক্ষ্যং পাড়া থেকে টেবিল পাহাড়ের দিকে প্রায় দুই ঘন্টার হাঁটা রাস্তা।
শনিবার সন্ধ্যায় বান্দরবানের তিনাপ সাইতার নামক ঝর্নার পথে রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার মাঝামাঝি পাইন্দু খাল পার হতে গিয়ে প্রবল ¯্রােতে ভেসে যান নৌবাহিনীর সাব-লেফটেন্যান্ট সাইফুল্লাহ ও ঢাকার গ্রীন হার্ট আর্ট কলেজের ছাত্রী জান্নাত আরা। সেনা ও পুলিশ সদস্যরা রোববার সারাদিন খোঁজ করেও তাদের উদ্ধার করতে পারেননি। পরে রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর একটি ডুবুরি দল রুমা পৌঁছে। সোমবার সকাল থেকে তারাও পাইন্দু খালের বিভিন্ন জায়গায় নিখোঁজ দু’জনের খোঁজ করতে থাকেন।
এর মধ্যে সোমবার সকাল ১১টার দিকে নিয়াক্ষ্যং পাড়ার কাছে সাইফুল্লাহর মরদেহের খোঁজ পান স্থানীয়রা। দুপুরের পর জান্নাত আরার মরদেহেরও সন্ধান পাওয়া যায়। মরদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্যে বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান রুমা থানার ওসি মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী।
এ সংক্রান্ত আরেকটি সংবাদ: বান্দরবানে পাহাড়ি খালে পড়ে নৌবাহিনী কর্মকর্তাসহ দু’জন নিখোঁজ: