বান্দরবান সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষাগার স্থাপনের জন্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ।
৯ জুন বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে এই চিঠি লেখা হয়।
বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘…চলমান পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় অত্র হাসপাতালে কোন ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। নেই কোন আইসিইউ, সিসিইউ-এর ব্যবস্থা।…’
‘…পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের করোনা সনাক্ত হলে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় জরুরিভিত্তিতে হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকা সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। … এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসার বিষয়টি কল্পনাতীত।’
এই জেলায় কোনো ল্যাব না থাকায় নমুনা সংগ্রহের পর কক্সবাজার থেকে রিপোর্ট পেতে ১৫/২০ দিনও লেগে যাচ্ছে উল্লেখ করে বলা হয়, বান্দরবানে ল্যাব স্থাপন করা হলে জেলার ৭টি উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলার জনগণ মিলে প্রায় ২০/২৫ লাখ লোক উপকৃত হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় করোনা টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের ব্যবস্থা করতে পারে কীনা জানতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এর মধ্যে করোনা মোকাবেলায় ত্রাণ সহায়তা বাবদ এ মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকবার বরাদ্দ পেয়েছি। স্থানীয় সরকার সচিব চাইলে ব্যবস্থা করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, বান্দরবান জেলায় গত কয়েক সপ্তাহে করোনা রোগীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী ও তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিবর্গও রয়েছেন।
বান্দরবান সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে করোনা চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জনস্বাস্থ্য ব্যাপক হুমকির মুখে পড়েছে।