বান্দরবানের আলীকদমে প্রতিবন্ধী তরুণী লাকাচিং তঞ্চঙ্গ্যাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অভিযুক্তরা হলো টিমথীয় ত্রিপুরা (২৫), জয়কুমার তঞ্চঙ্গ্যা (৩৮) ও জন ত্রিপুরা (৪৩)। হত্যার পর লাশটির গলায় গামছা বেঁধে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিলো তারা।
নিহত লাকাচিং তঞ্চঙ্গ্যা আলীকদম সদর ইউনিয়নের জলন্তমনি পাড়ার (আশ্রয় কেন্দ্র) কিত্তমন তঞ্চঙ্গ্যা মেয়ে। সে ভিক্ষা করে জীবন নির্বাহ করতো। আসামীরাও সকলে একই এলাকার অধিবাসী।
১৭ মে শুক্রবার আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ রফিক উল্লাহ মামলাটির অগ্রগতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি জানান, ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর বিকালে আলীকদমের আমতলী অসতি ত্রিপুরা পাড়ার পাশে পাহাড়ের ঢালে তরুণীর লাশ গাছে ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। আলীকদম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।
এলাকাবাসী এটিকে আত্মহত্যা বলে লাশের শেষকৃত্য করে ফেলতে চাইলেও পুলিশ তাতে বাধা দেয় এবং ময়নাতদন্তের জন্যে বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, লাকাচিং তঞ্চঙ্গ্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। সে সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
পরে বিভিন্নভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তারা দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
শুক্রবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনটিতে ওসি রফিক উল্লাহ ছাড়াও আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা কানন চৌধুরী ও উপ-পরিদর্শক নুর ইসলাম।