বান্দরবানে জহিরুল হক ভুট্টু নামের পাহাড়খেকো চক্রের এক সদস্যকে আইনের আওতায় এনেছে স্থানীয় প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে পরিবেশ বিপর্যয় এবং জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করছিলো এই চক্রটি। ১৩ আগস্ট বুধবার পৌর এলাকার বনরূপা পাড়ায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও মাটি পরিবহনের দায়ে এই ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা সুলতানা খান হীরামনি।

স্থানীয়রা জানান, বনরূপা পাড়ায় বিভিন্ন সময়ে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি এবং পাহাড়ি জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে মূল্যবৃদ্ধির সাথে জড়িত এই চক্রটি। তাদের কাটা পাহাড় থেকে বর্ষায় মাটি গড়িয়ে এসে এলাকার রাস্তাগুলোতে কাদা জমে থাকে। নালা ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যায়। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এলাকাবাসীর দুর্ভোগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সারা বছরই পাহাড় কাটা অব্যাহত রেখেছে এই চক্রটি।
জেলা সদরের বনরূপা পাড়া, ক্যচিংঘাটা, কালাঘাটা, লেমুঝিরি পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নানা কৌশলে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে এই চক্রটি। এসব কারণে এলাকাগুলোতে পাহাড় ধস, জলাবদ্ধতাসহ পরিবেশ বিপর্যয় ও জনভোগান্তির মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলেছে। এ রকম আরেকটি ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গত ২৬ জুন লেমুঝিরি এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। পরে সদর থানা পুলিশের অভিযানে সেখান থেকে একটি ভেকু ও ট্রাকসহ মোহাম্মদ ফারুক নামের এক পাহাড়খেকোকে আটক করা হয়।
জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মাটি ও বালি বহনকারী ট্রাকগুলোকে পৌর এলাকার সড়ক ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।