বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটারে প্রাকৃতিক ঝর্না শৈল প্রপাত। পাহাড়ের কোল বেয়ে এখানে অবিরাম ঝরে পড়ে দুধসাদা জলের ধারা। দূর থেকে ছুটে আসা হিমশীতল পানিতে গা জুড়াতে পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে সব মৌসুমেই। পাহাড়ের পাদদেশে ঝর্নার পাড়ে পিকনিক করার উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। বন-বনানীর নিস্তব্ধতার মাঝে পাখির কলকাকলিতে মুখর শৈলপ্রপাত নগর জীবনের কোলাহল থেকে একেবারেই আলাদা।
শৈল প্রপাতে গেলেই চোখে পড়বে আশপাশের বম নৃ-গোষ্ঠীর জীবনধারা। এখানে রয়েছে বমদের কয়েকটি পাড়া। তাদের হাতে বোনা চাদর, মাফলার, বেডশীটসহ বেত ও বাঁশের তৈরি বিভিন্ন আসবাব ও তৈজসপত্র এখানে পাওয়া যায় এখানে। বম নারী পুরুষরা শৈল প্রপাতকে ঘিরে এসব জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেন। নিজেদের বাগানে উৎপাদিত তাজা আনারস, পেঁপে, কাঁঠালসহ নানা ফলমূলও এখানে বিক্রি করেন তারা।
কীভাবে যাবেন
বান্দরবান শহর থেকে এটির দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। সময় লাগবে ২০ থেকে ২৫ মিনিট। চিম্বুক বা নীলগিরি যাবার পথে এখানে থামতে পারেন। শহর থেকে মাহিন্দ্র থ্রি-হুইলারের ভাড়া যাওয়া-আসা ৪শ’ টাকা। জীপ, মাইক্রোবাসের ভাড়া ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে।
খাবার ব্যবস্থা
শৈলপ্রপাতের আশপাশের দোকানগুলোতে হালকা খাবার, চা, পানি ও বিভিন্ন ধরণের পানীয় পাওয়া যায়। তবে ভারী খাবার খেতে চাইলে শহর থেকে সাথে নিয়ে যেতে হবে।
থাকার ব্যবস্থা
শৈল প্রপাতের আশপাশে কোনো থাকার ব্যবস্থা নেই।
সতর্কতা
শৈল প্রপাত ঝর্নার দু’পাশ ঢালু এবং পিচ্ছিল। তাই পানি থেকে যথেষ্ট দূরে অবস্থান করা নিরাপদ। অভ্যস্ত না হলে এখানে গোসল করতে না নামা ভালো।
যা করবেন না
শৈল প্রপাতে আশপাশের পাড়ার নারী-পুরুষরা গোসল করেন। তাদের গোসলের জায়গার আশেপাশে ঘোরাঘুরি না করা ভালো। গোসলরত মানুষের ছবি তোলা নিষেধ। মনে রাখুন, এটা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আপনার ভ্রমণের কারণে কারো স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়।