বান্দরবানের লামা উপজেলায় হামলা চালিয়ে ১১টি দোকান লুট এবং স্থানীয়দের মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লামা সদর ইউনিয়নের মেরাখোলা, ছোট বমু ও পোয়াং পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
হামলা শেষে ফিরে যাবার সময় ইউনিয়নের নকশাঝিরি নামক স্থানে সেনাবাহিনীর সাথে তাদের শতাধিক রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়েছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয়রা।
আলীকদম সেনা জোনের কমান্ডার লে. কর্নেল মাহাবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তিন দিক থেকে সেনাবাহিনীর তিনটি টহল দলকে ঘটনাস্থলের দিকে পাঠানো হয়। এ সময় একটি টহল দলের সাথে সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। কাউকে আটকও করা সম্ভব হয়নি।
ছোট বমু বাজারের ব্যবসায়ী খুইল্ল্যা মিয়া সওদাগর বলেন, এখানে নাছির উদ্দিনের চা দোকান, তাহেরা বেগমের চা ও মুদি দোকান, বিদর্শন বড়–য়ার চা ও মুদি দোকান, কামাল উদ্দিনের চা দোকান ও খুইল্ল্যা মিয়ার মুদি দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে গেছে। এসময় সন্ত্রাসীরা কয়েকজনকে মারধরও করে। পরে তারা মেরাখোলার দিকে চলে গেছে।
পরে সন্ত্রাসী গ্রুপটি মেরাখোলা বাজারে হামলা চালায়। স্থানীয় লোকজন ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। মেরাখোলা বাজারে ৪টি দোকান ভেঙ্গে মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে। ঔষধের দোকানদার ডা. নেপাল সেন বলেন, মেরাখোলা বাজারের ওমর বসাকের মুদি দোকান, মিলন পালের মুদি দোকান ও কসমেটিক দোকান, কায়েস উদ্দিনের চা দোকান ও আমার নিরাময় ফার্মেসি হতে দেড় লক্ষাধিক নগদ টাকা, ওষুধসহ নানারকম মালামাল নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।
মেরাখোলা হতে ফিরে যাওয়া পথে সন্ত্রাসীরা নকশা ঝিরি এলাকায় অস্ত্রের মুখে কয়েকজনকে জিম্মি করে আরো ২টি দোকান লুট করে নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জনিয়েছেন। এলাকার লোকজন ভয়ে বাড়িঘর ফেলে পালিয়ে যেতে শুরু করেছে।
এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে লামা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, দিনে দুপুরে সন্ত্রাসীদের হামলার বিষয়টি দুঃখজনক। চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছে আমার এলাকার লোকজন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। জনসাধারণের নিরাপত্তা দিক বিবেচনায় রেখে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
-লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি