বান্দরবানে রুমা থেকে আরাকান লিবারেশন পার্টির (এএলপি) ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনী এদের আটক করে। পরে শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রুমা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হোসেন জানান, রুমা সদরের কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। এ সময় চিংপ্রু মারমার পুত্র মন্টু মারমা (৩২), চাইসাপ্রু মারমার পুত্র উচিংমং মারমা (৩২) ও শৈচিং মারমার পুত্র উসাইনু মারমাকে (২৮) আটক করা হয়। তারা সবাই রুমা সদরের বাসাডং ও ঠান্ডাঝিড়ি পাড়ার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদেরকে এএলপি’র সদস্য বলে স্বীকার করেছে। আটক ৩ জনকে শুক্রবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল আলম চৌধুরী জানান, আটক তিন জন বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নে সাম্প্রতিক হত্যাকান্ডে জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায়ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে স্থানীয় জনপ্রনিধিরা জানান, আরাকান লিবারেশন পার্টির (এএলপি) কিছু দলছুট সদস্য স্থানীয় কিছু মারমা যুবকদের নিয়ে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠছে। যা মগ লিবারেশন পার্টি (এমএলপি) বা মগ বাহিনী নামে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় চাঁদাবাজি ও অপহরণ ও হত্যার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সংবাদ: বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় জনসংহতি সমিতির দুই শীর্ষ নেতা গ্রেফতার
গত ৭, ৯, ১৯ ও ২২ মে বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ও কুহালং ইউনিয়নে জনসংহতি সমিতির দুই সমর্থক, আওয়ামী লীগের এক সমর্থক ও পৌর কমিটির এক নেতা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা চথোয়াইমং মারমা হত্যার ঘটনায় কারাগারে রয়েছেন জনসংহতি সমিতির দুই নেতা কেএসমং ও ক্যবামং।