বান্দরবানের রুমা উপজেলা থেকে মগ লিবারেশন পার্টির এক নেতাকে অস্ত্রসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী। আটককৃত ব্যক্তির নাম মন্টু মারমা। তার কাছ থেকে একটি দেশীয় বন্দুক এবং একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
রুমা থানার একটি সূত্র জানায়, বুধবার সকালে রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তবে তাকে এখনো পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
জানা গেছে, মন্টু মারমা বেশ কিছুদিন ধরে রুমার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। তার বিরুদ্ধে গত বছর রুমা উপজেলার বাসাদেও পাড়ার কারবারীকে অপহরণ এবং এ বছরের ২৫ জানুয়ারি ৪ কাঠুরিয়াকে অপহরণের অভিযোগ আছে। এছাড়া রুমার দুই পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণেও অভিযুক্ত সে।
রুমা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কাশেম বলেন, আমরা তাকে আটকের ঘটনা শুনেছি। তবে সেনাবাহিনী এখনো তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেনি।
সম্প্রতি বান্দরবান সদরের রাজবিলা ইউনিয়নে আলাদা আলাদা ঘটনায় জনসংহতি সমিতির ২ সমর্থক ও আওয়ামী লীগের ১ সমর্থক খুন হন। অপহৃত হন জনসংসতি সমিতির এক সমর্থক এবং বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। এসব ঘটনায় জনসংহতি সমিতি মগ বাহিনীকে দায়ী করে আসছে। পক্ষান্তরে, আওয়ামী লীগ দায়ী করছে জনসংহতি সমিতিকে।
পরপর এসব হত্যাকান্ড ও অপহরণের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মী নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে জেলা সদরে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে।