পরিবহন খাতে নৈরাজ্য বন্ধে সুশীল সমাজের নেয়া উদ্যোগে নড়েচড়ে বসেছেন বান্দরবানের পরিবহন মালিকরা। মঙ্গলবার সকালে তাৎক্ষনিকভাবে ডাকা মালিক-শ্রমিকদের জরুরি বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কয়েকদিনের মধ্যেই আয়োজন করা হচ্ছে নাগরিক সংলাপ। এই সংলাপে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী, যাত্রী প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেবার কথা রয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বান্দরবানের পরিবহন সেক্টরের নৈরাজ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনামূলক পোস্ট করেন স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী। এরপর থেকেই বিষয়টি নতুন করে জেলাবাসীর আলোচনায় উঠে আসে। এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ বান্দরবান-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনে নিজেদের ভোগান্তির বিষয় তুলে ধরেন। এসব আলোচনা-সমালোচনা নজরে এলে এ ব্যাপারে প্রশাসন ও পরিবহন মালিকদের সাথে আলোচনা করে পরিবহনের মান উন্নয়নে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবার নির্দেশ দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
পরে ১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠনগুলো স্থানীয় একটি হোটেলে বৈঠক ডাকে। সেখানে বান্দরবান-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী পূরবী ও পূর্বাণী বাস সার্ভিসের মান উন্নয়নে কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মালিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে পরিবহন খাতে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন আসবে।
একই দিন বিকেলে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক মোঃ দাউদুল ইসলাম। বৈঠকে জেলার সব মহলের অংশগ্রহণে একটি নাগরিক সংলাপ আয়োজন এবং আলোচ্য বিষয়ও নির্ধারিত হয়। জেলা প্রশাসক জানান, বান্দরবানকে পর্যটনবান্ধব জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পরিবহন সেক্টর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। তাদের সেবার মান উন্নয়ন করার জন্যে প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম, বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম সুমন, বাসস প্রতিনিধি এনামুল হক কাশেমী, প্রথম আলোর প্রতিনিধি বুদ্ধজ্যোতি চাকমা, এটিএন বাংলার প্রতিনিধি মিনারুল হক, সময় টিভি’র প্রতিনিধি এস. বাসু দাশ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি’র প্রতিনিধি মং খিং মারমা ও যমুনা টিভি’র প্রতিনিধি বাটিং মারমা।