বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়নে শিগগিরই বাতিল হচ্ছে জিপিএ ফাইভ পদ্ধতি। আগামী জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা জেএসসি থেকেই চালু হবে, কিউমুলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ বা সিজিপিএ ফোর পদ্ধতি। বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পদ্ধতি চালু রয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির বৈঠকে সিজিপিএ পুনর্বিন্যাসের খসড়া করার নির্দেশ দেয়া হয়।
২০০১ সালের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ফলাফল মূল্যায়নে হঠাৎ করেই চালু করা হয় গ্রেডিং পদ্ধতি। সে পরীক্ষায় মাত্র ৭৬ জন এ প্লাস পেলে সমালোচনার মুখে পড়ে জিপিএ ফাইভ নিয়ে গড়া এ গ্রেডিং পদ্ধতি।
এর পর প্রায় দুই দশকে প্রতি বছরই বেড়েছে জিপিএ ফাইভের সংখ্যা। তারপরও কমেনি সমালোচনা। শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের কঠোর সমালোচনায়, অবশেষে বাতিল করা হচ্ছে এই পদ্ধতি। এর বদলে ফলাফল সিজিপিএ-চার দিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে ফলাফলের মূল্যায়ন করা হবে।
জিপিএ পাঁচ পদ্ধতিতে ৮০ থেকে ১০০ নম্বর পেলে দেয়া হতো গ্রেড পয়েন্ট পাঁচ। এটাই সর্বোচ্চ গ্রেড। ৭০-৭৯ নম্বরে গ্রেড চার, ৬০-৬৯ গ্রেড তিন দশমিক পাচ শূন্য, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে গ্রেড তিন দেয়া হতো।
এর পরিবর্তে সিজিপিএ চার-এর হিসাবে, গড়ে সব বিষয়ে ৮০র উপরে নম্বর পেলে সিজিপিএ চার দেয়া হবে যা এ প্লাস। এ ক্ষেত্রে পাস ধরা হবে ৪০ নম্বরে।
শিক্ষা গবেষকের পরামর্শ, সব প্রস্তুতি সেরেই ঘোষণা দেয়া উচিত সিজিপিএর। প্রস্তুতি ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত হিতে বিপরীত হতে পারে।
সিজিপিএ-চার চালু হলে, জিপিএ ফাইভ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা দূর হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।