কোভিশিল্ড নামের টিকাটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে তৈরি করেছে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। টিকাটি উৎপাদনে অ্যাস্ট্রাজেনেকার অংশীদার ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট। বিশ্বের সবচাইতে বেশি সংখ্যায় টিকা উৎপাদন করে এই কোম্পানিটি। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশে টিকা দেয়া শুরু হবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
এ মাসের ২১ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে পৌঁছাবে। যা থেকে প্রথম ডোজ দেয়া হবে। পরবর্তী ডোজ আসবে দুই মাস পর। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ আসবে। তিন কোটি ডোজ আসতে ছয়মাসের মতো লেগে যাবে। টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হবে ২৬শে জানুয়ারি থেকে।
স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও, সম্মুখ সারির পেশায় থাকা ব্যক্তি এবং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল যেসব রোগী তারা প্রথম ধাপে টিকা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপে থাকবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে এমন ৬৫ বছর বয়স্ক ও তার উপরে যাদের বয়স তারা, শিক্ষাকর্মী, জনপরিবহনের কর্মীরা। তৃতীয় ধাপে থাকবেন তারা যাদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি – কিন্তু কোন বড় অসুখ নেই।
করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে সরকার। অগ্রাধিকার পাবেন এমন ব্যক্তিদের এর মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। তবে দেশের জনগোষ্ঠীর দুটি অংশ আপাতত এই টিকা কর্মসূচীর বাইরে থাকবে। ১৮ বছর বয়সের নিচে যারা তাদের উপর টিকার কোন ট্রায়াল হয়নি। তাই তারা এই টিকা কর্মসূচীর বাইরে থাকবে। দুই নম্বর হচ্ছে গর্ভবতী নারী। তাদেরও দেয়া হবে না করোনাভাইরাসের টিকা। কারণ তাদের উপরেও কোন ট্রায়াল হয়নি। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে সরকার। অগ্রাধিকার পাবেন এমন ব্যক্তিদের এর মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে।