বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৭৬৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৮ জন।
এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট ৪৪ হাজার ৬০৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৬১০। মারা যাওয়া ২৮ জনের মধ্যে ২৬ জন হাসপাতালে ও ২ জন বাসায় মারা গেছেন বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। আর এই ২৮ জনের মধ্যে ১০ জনই মারা গেছে ঢাকা শহরে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৯,৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করে এই তথ্য জানা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৭.৬৬%। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬০ জন সুস্থ হয়েছেন, আর মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৯,৩৭৫ জন। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হওয়া রোগীর বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১.০২%।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৮ জনের মধ্যে ২৫ জনই পুরুষ। আর এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৬১০ জনের মধ্যে ৭৫ ভাগই পুরুষ। শনাক্ত হওয়া রোগীদের ক্ষেত্রেও পুরুষের হার বেশি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস রোগীর মধ্যে ৭১ শতাংশই পুরুষ।
২৯শে মে পর্যন্ত সঙ্কলিত তথ্য বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের ও মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বয়সভিত্তিক বিন্যাস প্রকাশ করেন নাসিমা সুলতানা। সেই তথ্যে উঠে আসে যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৭৩ ভাগের বয়সই ২১ থেকে ৫০-এর মধ্যে। তবে কোভিড-১৯ এ বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন, তাদের প্রায় ৭০ ভাগের বয়সই পঞ্চাশের বেশি।
বাংলাদেশে গত কয়েকদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার আশংকাজনক হারে বাড়লেও সরকার সাধারণ ছুটি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আগামীকাল (৩১শে মে) থেকে খুলছে সরকারি বেসরকারি অফিস। সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী বহন করার শর্তে চালু হচ্ছে গণপরিবহণও।