স্বাস্থ্যবিধি ও শারিরীক দূরত্ব মেনে চলার শর্তে আগামীকাল ৭ মে বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজ থেকে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমা ও তারাবির নামাজসহ সব ধরণের নামাজের জন্য মসজিদ উন্মুক্ত করার জন্যে এ ঘোষণা দেয়া হলো।
৬ মে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির শর্তসমূহ:
১. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লীগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিযে আসবেন।
২. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার / হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লীকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
৩. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৪. কাতারে নামাজে দাড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ তিন ফুট পর পর দাঁড়াতে হবে।
৫. এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
৬. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
৭. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওজুখানায় সাবান / হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৮. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৯. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।
১০. উল্লিখিত শর্ত পালন সাপেক্ষে প্রত্যেক মসজিদে সর্বোচ্চ ৫ জন নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ইতেকাফ এর জন্য অবস্থান করতে পারবেন।
১১. করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
১২. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে কওমী মাদ্রাসাগুলোর একটি বোর্ড এবং একটি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ১৪টি শর্তে মসজিদে তারাবির নামাজ সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানিয়েছিলো। ওই সময় সরকার তাদের দাবি নাকচ করে দেয়।
এরপর গত ৫ মে মসজিদ খুলে দেবার আহবান জানিয়ে আলমদের একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
সব পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে মসজিদে নিয়মিত নামাজে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং রমজানের তারাবীতে সর্বোচ্চ ১২ জন নামাজ পড়ার শর্ত শিথিল করে বর্তমান শর্তগুলো আরোপ করা হলো।