ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হককে তার মায়ের কবরের পাশেই দাফন করা হবে। শনিবার বিকালে তার মরদেহ বনানী কবরস্থানে তার মা, শাশুড়ি ও ছোট ছেলে শারাফুল হকের কবরের পাশেই দাফন করা হবে বলে ইত্তেফাককে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন।
এদিকে মেয়র আনিসুল হক স্মরণে শুক্রবার ডিএনসিসির নগরভবনসহ পাঁচটি অঞ্চলে একযোগে শোক বই খোলা হয়েছে। ডিএনসিসি শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে। শুক্রবার সকাল থেকে অসংখ্য নগরবাসী শোক বইয়ে তাদের শোকগাঁথা লিপিবদ্ব করছেন। মেয়রের মৃত্যুতে রবিবার কর্তৃপক্ষ এক দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। এই দিন ডিএনসিসির প্রধান দপ্তরসহ সকল শাখা অফিস বন্ধ থাকবে।
শনিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে মেয়রের মরদেহ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের ফ্ল্যাইট নং বিজি ০০২ যোগে ঢাকায় আনা হবে। সেখানে তার ছোট ভাই সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, আত্মীয়-স্বজন ও ডিএনসিসির কর্মকর্তারা মেয়রের মরদেহ গ্রহণ করবেন। বিমান বন্দর থেকে তাকে বনানীর বাসভবনে নেয়া হবে।
সেখান থেকে বিকাল ৩টা থেকে সর্বসাধারণকে শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ করে দিতে মেয়রের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে রাখা হবে। বাদ আসর সেখানেই তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশেই দাফন করা হবে।
এর আগে শুক্রবার জুমার পর লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক জামে মসজিদে আনিসুল হকের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, মেয়র আনিসুল হক নাতির জন্ম উপলক্ষে গত ২৯ জুলাই সপরিবারে লন্ডনে যান। গত ১৪ আগস্ট দেশে ফেরার কথা থাকলেও আগের দিন রাতে হঠাৎ করেই অসুস্থ হন তিনি। পরিবারের সদস্যরা তাকে লন্ডনের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকদের অধীনেই পরীক্ষা চলার সময় জ্ঞান হারান তিনি। এ সময় চিকিৎসকরা তার মস্তিস্কের রক্তনালীতে প্রদাহজনিত (সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস) হয়েছে বলে জানান এবং সেখানেই তার দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা চলতে থাকে।
তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত ৩১ অক্টোবর তাকে আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশনে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে গত ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার হঠাৎ করেই তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমান্বয়ে আবারও অবনতি হতে থাকে। ৩০ নভেম্বর লন্ডন সময় ৪টা ২৩ মিনিটে তিনি লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আনিসুল হকের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। মৃত্যুর সময় স্ত্রী রুবানা হক ও সন্তানরা তার পাশে ছিলেন।
কৃতজ্ঞতা- দৈনিক ইত্তেফাক