বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত বলে অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তিনি (জিয়া) যে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সেটা হত্যাকাণ্ডের পর বিদেশি টেলিভিশনে কর্নেল ফারুক ও রশিদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে’।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে সমস্ত বই পুস্তক পরবর্তীতে প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর মাধ্যমেও আজকে স্পষ্ট হয়েছে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও ৫০ বছর পরের প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস উপস্থাপন করার জন্য একটি কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পটভূমি রচনা করেছিল, সেই নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করা প্রয়োজন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মোকারম হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম বাবুল, রেজাউল করিম রাজা, এস এম জসিম উদ্দিন, রিদুয়ানুল হক টিপু, সেকান্দর আলম বাবর, মুক্তিযোদ্ধা রাজেন্দ্র প্রসাদ, আ হ ম নাছির উদ্দিন প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক চক্র এবং যারা বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা চায়নি, মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল তারা যোগসাজশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি যুক্তদের বিচার হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নীলনকশা যারা প্রণয়ন করেছিল তাদের বিচার হয়নি। ইতিহাস ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার স্বার্থে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা প্রয়োজন।
