বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের ৫ কিলোমিটার সুজা রোডটি বেহাল হয়ে পড়েছে। ফকিরাখোলা, পাগলির আগা ও হারগাজা অংশে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে সেটি। ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। হামেশাই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা।
সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ার পেছনে স্থানীয়রা দায়ী করেছেন, বালু ও পাথরবাহী ভারী যানবাহনগুলোকে। এসব গ্রামীণ রাস্তার ভারী যানবাহনের চাপ নেবার ক্ষমতা নেই বলে মনে করেন তাঁরা।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সাপেরগাড়া অংশ থেকে হারগাজা হয়ে বগাইছড়ি অংশের মেরামতের কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। কিন্তু সড়কটির সবচেয়ে দুর্বল অংশ হারগাজা থেকে ফকিরাখোলা ও পাগলীরবিল হয়ে ডুলাহাজারা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার অংশ মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
হারগাজা ও ফকিরাখোলা এলাকার করিম মিয়া, আল আমিন, রাশেদ পারভেজ ও মনোয়ারা বেগমসহ অনেকে বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। রাস্তাটি এতোটাই নষ্ট হয়ে পড়েছে যে, কোথাও কোথাও ইটের চিহ্ন পর্যন্ত নেই।
এই রুটে নিয়মিত জীপ চালান ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, রাস্তায় বড় বড় গর্তের কারণে যাত্রীবাহী যান চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এই শুকনো মৌসুমেও কাদামাটিতে গাড়ি আটকে যাচ্ছে।
ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কুতুব উদ্দিন বলেন, অতিমাত্রায় ভারী পাথর, বালু ও কাঠবাহী ট্রাক চলাচল করায় রাস্তাটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে হারগাজা হতে পাগলিরবিল দিয়ে ডুলহাজারা সড়কটি মেরামত অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ জান্নাত রুমি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করে উক্ত রাস্তা উন্নয়নে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়া হবে।
- লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি