প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক কলেজ ছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে কেটে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার পশ্চিম কলেজ পাড়ায়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে এক যুবককে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম নুসরাত জাহান (১৮)। তিনি স্থানীয় মহিউদ্দিন আহমেদ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। চিকিৎসার জন্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন তিনি।
অভিযুক্ত যুবকের নাম শহিদুল ইসলাম (২৮)। তিনি উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। মামলা দায়েরের পর থেকে শহিদুল পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও নুসরাতের পারিবারিক সূত্র জানায়, কলেজে আসা-যাওয়ার পথে শহিদুল নুসরাতকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। এ নিয়ে গত বছরের ২ মে নুসরাতের নানা আবদুল লতিফ শহিদুলের বিরুদ্ধে উত্ত্যক্তের অভিযোগে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরেও শহিদুল ওই শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন ।
নুসরাতের বরাত দিয়ে তার পরিবার আরো জানায়, সোমবার বিকেল চারটার দিকে নুসরাত প্রাইভেট পড়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় পশ্চিম কলেজ পাড়া এলাকায় শহিদুল তার পথ আগলে দাঁড়ায় এবং ব্লেড দিয়ে বাঁ হাতের কবজির উপরে ও নিচে দু’টি জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে নুসরাতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এই ঘটনায় নুসরাতের নানা সোমবার রাতে শহিদুলের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেন। এর আগে বিকেলে খবর পেয়ে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হায়াতুল ইসলাম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নুসরাত বলেন, ‘শহিদুল ইসলাম আমাকে দুই বছর ধরে পথে ঘাটে উত্ত্যক্ত করে আসছে। সে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ব্লেড দিয়ে জখম করে। এরপর শহিদুল ইসলাম নিজের হাত ব্লেড দিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মেয়েটির বাঁ হাতের কবজির ওপর ও নিচে দুটি ব্লেডের জখম রয়েছে। সে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান বলেন, শহিদুল ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।