বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া ব্লুম বার্নিকাট মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তাদের আলোচনায় আসন্ন নির্বাচন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা এবং বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়গুলো উঠে আসে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে তার সরকারের পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে বলেন, সেভাবেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘অনেক নির্বাচনেই আমরা পরাজয়বরণ করেছি এমনকি খুব সামান্য ব্যবধানেও পরাজিত হয়েছি। কিন্তু কোনো নির্বাচনেই প্রভাব খাটিয়ে বিজয়ী হবার চেষ্টা করি নাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো ধরনের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে আগামী নির্বাচনকালে স্বাগত জানাতে তার দল প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে তার দেশের বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এলএনজি রফতানি করতে আগ্রহী।
বাংলাদেশের জ্বালানি খাত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেই বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করছে, কারণ উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টিই এর উদ্দেশ্য।
বার্নিকাট প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আগামী সভাপতি হিসেবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করবে।
প্রেস সচিব বলেন, দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়। রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ গত বছর ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।