ফেসবুক পেজ চালানোর ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরির জন্য নতুন ফিচার ঘোষণা করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার ফেসবুক নতুন এ ফিচারের ঘোষণা দেয়। নতুন ফিচারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘পেজেস পাবলিশিং অথোরাইজেশন’ বা পেজ প্রকাশের অনুমোদনসংক্রান্ত বিষয়। আপাতত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ব্যাপক অনুসারী আছে—এমন পেজগুলোর ক্ষেত্রে অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
এ ছাড়া পেজটি কোন দেশ থেকে তৈরি, তার লোকেশন বা অবস্থান অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। কোনো পেজ যদি মার্জ করা হয় বা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়, তাও দেখার সুবিধা থাকতে হবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, যাঁরা ফেসবুক পেজ চালান বা ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কিছুটা কঠোর হতে যাচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। পেজে পোস্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের নির্দিষ্ট কিছু নিয়মনীতির মধ্যে থাকতে হবে। তাঁদের এখন টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং কোনো কিছু পোস্ট করার আগে তাঁদের অবস্থান (প্রাইমারি হোম লোকেশন) ফেসবুককে নিশ্চিত করতে হবে।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, ভুয়া খবর প্রকাশ ঠেকানোর লক্ষ্য নিয়ে তারা এ প্রক্রিয়া চালু করছে। হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধেও এতে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। জোর করে অনুমোদনের এ প্রক্রিয়া চলতি মাসের শেষ দিকে শুরু হবে।
পেজ হিস্ট্রি পেজের মধ্যে কোন পেজের সঙ্গে কোন পেজ কখন একত্র করা হয়েছে, তা প্রদর্শন করা হবে। এতে ওই পেজের অনুসারীদের কাছে পেজের স্বচ্ছতা থাকবে। এ ছাড়া অনুসারীরা সচেতন থাকতে পারবেন। পেজের সঙ্গে ‘পিপল হু ম্যানেজ দিস পেজ’ নামে একটি সেকশন বা বিভাগ যুক্ত হবে, যেখানে পেজ ব্যবস্থাপকদের সম্পর্কে তথ্য থাকবে।
ফেসবুক ছাড়াও ইনস্টাগ্রামে এ ফিচার চালু করতে পারে ফেসবুক। আপাতত যুক্তরাষ্ট্রে বড় আকারের পেজগুলোয় এ ফিচার পরীক্ষা চালাচ্ছে ফেসবুক।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভুয়া খবর ও ডেটা প্রাইভেসি-সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির পর ফেসবুকের কাছ থেকে এ পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা এল। ফেসবুক পেজের ক্ষেত্রে সামান্য পরিবর্তন ভুয়া খবর ঠেকানোর পথে একধাপ অগ্রগতি বলেই মনে করা হচ্ছে।