ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরস্বতী পূজার বিষয়টি ইসির মাথায় রাখা উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) যখন শিডিউল ঘোষণা করেছে তখন পূজার বিষয়টি তাদের বিবেচনা করা উচিত ছিল।
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে বিএনপির আপত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি সারা জীবন এনালগ থাকতে চায়।
সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আচরণবিধির লঙ্ঘনে অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইসির হাতে অনেক ক্ষমতা আছে, পুলিশ আছে। আচরণবিধি মানার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এখানে সরকারের কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা নিয়ম মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই উচিত।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবিতে আন্দোলনরতদের আদালতের আদেশ মেনে আন্দোলন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আদালতের রায়কে সম্মান করতে চাই। তারিখের বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তাই এই রায়কে নির্বাচন কমিশন ফলো করবে, এটাই স্বাভাবিক। সব কিছু মিলিয়ে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, প্রত্যাশিত নির্বাচনের এই রায় মেনে নিয়ে, সবাই অংশ নেবে এটাই আমার বিশ্বাস।
নির্বাচন কমিশন যখন শিডিউল ঘোষণা করেছে তখন পূজার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত ছিল কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সেটা নিশ্চয়ই তাদের বিবেচনা করা উচিত ছিল। আর তাদের ঘোষণার ভেতর কোনো ফাঁক-ফোকর আছে কি না, সেটা দেখার বিষয় ছিল আদালতের। আদালত তো এখানে একটা নির্দেশ অলরেডি দিয়েছে।
জাতীয় সংসদে ধর্ষকদের এনকাউন্টার বা ক্রসফায়ারে দেওয়ার দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদে ধর্ষকদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এ বিষয়টি অনলাইনে দেখেছি। আমি তখন সিঙ্গাপুর ছিলাম। যারা বক্তব্য রেখেছেন এনকাউন্টারের পক্ষে, আমার মনে হয় এটা তাদের ব্যক্তিগত মতামত। এটা সরকার বা আমাদের দলের কোনো বিষয় নয়। আমরা এনকাউন্টার বা ক্রসফায়ারকে তো সাপোর্ট করতে পারি না। কারণ এটা সংবিধানের আওতার বাইরে ও সংবিধান সম্মত নয়।