পুলিশকে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক অপারেশনাল গিয়ার। এর উদ্দেশ্য হলো একজন পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব পালনকালে যেসব সরঞ্জামাদির প্রয়োজন হয়, তার সবগুলোই যাতে হাতের নাগালে সময়মত পাওয়া যায়। উন্নত বিশ্বে রুটিন ডিউটিতে পুলিশ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেন না। কারণ এতে ডিউটি পালনে বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
জনশৃংখলা রক্ষায় পুলিশের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় এই অপারেশনাল গিয়ারে সরঞ্জামগুলো এমনভাবে সংযোজন করা হয়েছে, যাতে দায়িত্বপালনকালে একজন পুলিশ সদস্য খুব সহজেই দরকারি জিনিস মুহূর্তের মধ্যেই পেয়ে যান। ট্যাকটিক্যাল বেল্টের সঙ্গে থাই হোলস্টার যুক্ত করে সেখানে স্মল আর্মস রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও বেল্টের সঙ্গে এক্সপ্যান্ডেবল ব্যাটন, টর্চলাইট, হ্যান্ডকাফ ও ওয়াটল বটল রাখার সুযোগ রয়েছে।
জরুরি মুহূর্তে দ্রুত মেসেজ আদান-প্রদান নিশ্চিত করতে ওয়ালেস সেটের সঙ্গে একটি মাইক্রোফোন ও ওয়ালেস সেট জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যরা ওয়ালেস সেট মুখের কাছে না এনেই মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারবেন।
নতুন এই অপারেশন গিয়ার চালু করায় পুলিশ সদস্যদের আগের মতো কাঁধে বা হাতে করে অস্ত্র বহন করতে হবে না। হাত ফাঁকা থাকায় জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে দুই হাত ব্যবহার করেই সহযোগিতার জন্য এগোতে পারবেন পুলিশ সদস্যরা। এছাড়াও সর্বাধুনিক এই অপারেশন গিয়ার বাংলাদেশ পুলিশকে একটি স্মার্ট লুক এনে দেবে।