মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা, বান্দরবান ॥ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণসহ শক্ত হাতে পাহাড়ের সকল সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের প্রতিহত করা হবে। শান্তিচুক্তির সময় সকল অস্ত্র সরকারের কাছে জমা দেয়ার পরেও কেন পাহাড়ে অস্ত্র থাকবে? পাহাড়ি-বাঙ্গালী ঐক্যবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে প্রয়োজনে লাঠি হাতে তুলে নিতে হবে। ২৮ মার্চ বুধবার লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের আকিরাম পাড়ায় ত্রিপুরা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম.পি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষার প্রসারে ৩ পার্বত্য জেলায় আরো ২১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সরকার ৩ জেলায় ৫৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে। শুধুমাত্র লামা উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড হতে চলতি বছরে ১২৯ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ, এলজিইডি’র ৭২ কোটি টাকা সহ আরো ১৯টি মন্ত্রণালয়ের কয়েকশ’ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ শেষ ও চলমান রয়েছে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দরিদ্র ও অসহায় ১১টি নৃ-গোষ্ঠীর জনসাধারণের ভাগ্য উন্নয়নে দেড় একর করে মিশ্র ফলের বাগান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
ইউপি মেম্বার ইলিশা ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার, লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ইসমাইল, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, মোস্তফা জামাল, ফাতেমা পারুল প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ জান্নাত রুমি, ইউপি চেয়ারম্যান সাচিং প্রু মার্মা, বাথোয়াইচিং মার্মা, মিন্টু কুমার সেন, ফরিদুল আলম, জেলা পরিষদ সদস্য ফিলিপ ত্রিপুরা, অজাহা ত্রিপুরা, ধর্মচরণ ত্রিপুরা, ধূর্যধন ত্রিপুরাসহ আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিকেলে লামার চাম্পাতলী আনসার মাঠে শেখ রাসেল স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী।
