ওজন কম, দাম পাওয়া যায় বেশি। পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় বহনের ঝক্কি কম হওয়ায় গোলমরিচ চাষ এখানে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে।
এই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই উন্নয়ন সংস্থা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন নিজেদের উদ্যোগে পরীক্ষামূলক ‘গোলমরিচ’ চাষের ক্ষুদ্র প্রকল্প গ্রহণ করে। মূলতঃ পাহাড়ের গোড়ায় ধাপে ধাপে গোলমরিচ চাষ করা যায় কিনা তা গবেষণা করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
২০১৮ সালের মে মাসে প্রাথমিকভাবে ৫০টি চারার মাধ্যমে এই গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় ১২ ফুট লম্বা পিলারে গোলমরিচ চারা তুলে দেয়া হয়। একেকটি পিলারে চারটি করে চারা রোপন করা হয়েছে। ২০২১ সালের মার্চ মাসের ২৩ তারিখে কয়েকটি পিলার থেকে প্রায় ১ কেজির মতো গোলমরিচ সংগ্রহ করা হয়। সংগ্রহ করা গোলমরিচের স্বাদ বেশ ঝাঁঝালো।

হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মং মং সিং জানান, যেখানে সেচের ব্যবস্থা ভালো সেখানে পিলার (খুঁটি) পদ্ধতিতে গোলমরিচ ভালো উৎপাদন হতে পারে বলে আমরা মনে করি। কেউ কেউ নারিকেল, সুপারি, কাঁঠালসহ অন্যান্য গাছে তুলে দিয়েও গোলমরিচ চাষ করে থাকেন।
বিশেষ করে ভারতের কৃষকরা এই পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। অন্যদিকে কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনামে পিলার পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে। আমাদের কাছে পিলার পদ্ধতিটিকে তুলনামূলকভাবে উত্তম বলে মনে হয়। কারণ, এই পদ্ধতিতে ফলন বেশি হয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও মরিচের গাছ রক্ষা পায়। পদ্ধতি যাই হোক, দুর্গম পাহাড়ে ‘কম ওজন, সহজ পরিবহন, বেশি আয়’-এর জন্য অপনচশীল হিসেবে গোলমরিচ একটি নির্ভরযোগ্য মসলা জাতীয় ফসল হতে পারে- জানান মং মং সিং।