মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদন করেছেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া।
মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত পাপুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ফয়েজ।
গত সোমবার আইনজীবীর মাধ্যমে আবুল ফয়েজ ভূঁইয়া সিইসি বরাবর তার এই আবেদনপত্র দাখিল করেন। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে সিইসিকে দেওয়া আবেদনে বলা হয়, ‘শহিদ ইসলাম পাপুলের নির্বাচনী হলনামায় নিজেকে স্নাতকোত্তর পাস বলে উল্লেখ করেন। সার্টিফিকেট প্রদান করেন স্নাতক ডিগ্রির। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের ডিগ্রিও অর্জন করেননি। ইসিতে তিনি ভুয়া স্নাতক পাসের সার্টিফিকেট জমা দেন। নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রদান করে তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। কিন্তু কর্তব্যরত রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক তার প্রার্থিতা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন এবং তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ। তাছাড়া সম্প্রতি পাপুল মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। অতএব হলফনামায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য প্রদান করায় পাপুলের সংসদ সদস্যপদ বাতিল করে লক্ষ্মীপুর-২ (আসন নম্বর-২৭৫) আসন শূন্য ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অর্থপাচার ও মানবপাচারের অভিযোগ কুয়েতে গ্রেফতার হয়েছেন পাপুল। তার বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলছে।