চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এক গৃহবধূকে (২৬) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে কর্ণফুলী উপজেলার এক গ্রামের পরিত্যক্ত রান্না ঘরে ওই নারীকে ধর্ষণ করার কথা আটককৃতরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। পাওনা টাকা ফেরত দিতে গিয়ে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
আটককৃত ৫ জন হলেন মো. সেকান্দর (৩৩), মো. ইলিয়াছ (৩২), কামাল উদ্দীন (২৮), মো. ইউনুছ (২৫) ও জোনাব আলী ওরফে চঙ্কু (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারী নগরের একটি এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে বিভিন্ন বাসায় কাজ করতেন। তাঁর সঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলার মো. ইলিয়াছ (৩২) নামে এক যুবকের পরিচয় হয়। এক সময় তাঁরা একে অপরকে ভাইবোন বলেও সম্বোধন করেন। এর মধ্যে ইলিয়াছের কাছ থেকে ৮০০ টাকা ধার নেন ওই নারী। সেই টাকা ফেরত দিতে গিয়েই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি।
ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারী থানায় মৌখিক অভিযোগ দিলে পুলিশ ৫ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত আটটার দিকে পুরাতন ব্রিজঘাট এলাকায় যান ওই নারী। সেখানে ইলিয়াছকে ডেকে টাকা ফেরত দিতে চান তিনি। কিন্তু ইলিয়াছ বাসায় চা খেতে যাওয়ার অনুরোধ করে ওই নারীকে একটি অটোরিকশায় তোলেন। ইলিয়াছ অটোরিকশাটি একটি ইট ভাটায় নিয়ে যান। সেখানে রাত ১০টা থেকে রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ওই নারীকে আটকে রেখে পাঁচজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আসামিরা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মৌখিক অভিযোগ করলে ১৬ ঘণ্টার অভিযানে সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কর্ণফুলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জুবায়েদ সৈয়দ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচজনই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের আদালতে নিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।