পাইলট হতে চেয়ে বিমান ছিনতাই। এরপর সেই বিমান ওড়াতে গিয়ে মৃত্যু হল সেই বিমান কোম্পানিরই এক কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে ওয়াশিংটনের পিয়ার্স কাউন্টির পুগেট সাউন্ড এলাকায়। এই ঘটনার জন্য বেশ কিছুক্ষণ সিয়াটেল-ট্যাকোমা বিমানবন্দর বন্ধ থাকার পর শনিবার ভোররাত থেকে ফের চালু হয়েছে বিমান চলাচল।
আলাস্কা এয়ারলাইন্সের সেই ফাঁকা বিমানটি সিয়াটেল-ট্যাকোমা আন্তর্জাতিক বিমনবন্দর থেকে চুপিসাড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায় রিচ নামে ওই কোম্পানিরই কর্মী। কোম্পানির তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়ে বলা হয়েছে, ৭৬টি আসনের কিউ-৪০০ টার্বোপ্রপ বিমানটি এদিন রাতে সবার নজর এড়িয়ে আচমকাই আকাশে উড়িয়ে নিয়ে যান রিচ।
খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ মার্কিন বিমানবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এফ-১৫ ধাওয়া করে কিউ-৪০০ বিমানকে। বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পর বেশ কিছুক্ষণ বিমানটি আকাশে পাক খেয়ে, যুদ্ধবিমানগুলির সামনে দিয়েও উড়ে গিয়ে চেম্বার্স বে’র দিকে যায়। সেখানে দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সামলিয়ে নেন রিচ। অবশেষে কেট্রন দ্বীপে ভেঙে পড়ে বিমানটি।
বিমান থেকে পাঠানো শেষ অডিও টুইটে রিচ আলাস্কা এয়ারলাইন্সকে প্রশ্ন করেছিলেন, যদি তিনি বিমানটি সফলভাবে অবতরণ করান, তাহলে আলাস্কা তাকে পাইলট হিসেবে চাকরি দেবে কিনা। এই ঘটনার সঙ্গে নাশকতার যোগাযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে পিয়ার্স কাউন্টির শেরিফ পল প্যাস্টর সাংবাদিকদের বলেন, যিনি বিমান উড়িয়ে ছিলেন, তিনি আলাস্কা বিমান কোম্পানির কর্মী হলেও অনুমোদিত পাইলট নন।
তিনি আরও বলেন, ২৯ বছরের রিচ পিয়ার্স কাউন্টিরই বাসিন্দা। তার গতিবিধি সম্পর্কেও অবগত কোম্পানি। রিচের কোনও জঙ্গি যোগ নেই। দ্বিতীয় কেউ তার সঙ্গে যুক্তও ছিল না। কারণ রিচ বিমানটি নিয়ে বেশ কয়েকবার পাক খেয়েছিলেন। বিমানবাহিনীর বিমানের সামনে দিয়েও ঘোরাফেরা করেছেন বিমান নিয়ে। নাশকতার মানসিকতা থাকলে এই কাজ কেউ করে না। পাইলট হওয়ার ইচ্ছাতেই সেই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন রিচ বলে মনে করছেন শেরিফ।