রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলায় জড়িত থাকার দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন এবং বাকি ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন অালোচিত ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
নৃশংস এ গ্রেনেড হামলা মামলায় ৫২ আসামির মধ্যে তিনজনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় বর্তমানে আসামি ৪৯ জন। এর মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। ভারতে কারাবন্দি রয়েছেন দুজন এবং অন্য সাত আসামির অবস্থান সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পলাতক আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা মোফাজ্জল হোসেইন কায়কোবাদ, হরকাতুল জিহাদ নেতা জাহাঙ্গীর বদর, তৎকালীন ডিজিএফআই’র কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন, আরেক কর্মকর্তা লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার, পরিবহন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হানিফ, মাওলানা তাজউদ্দিন, তার ভাই বাবু ওরফে রাতুল বাবু, আনিসুল ইসলাম মোরসালিন, মুহিবুল ইসলাম মুত্তাকিন, হরকাতুল জিহাদ নেতা শফিকুর রহমান, আব্দুল হাই, দেলোয়ার হোসেন জোবায়ের ওরফে লিটন, খলিলুর রহমান, ইকবাল, পুলিশ কর্মকর্তা খান সাঈদ হাসান ও ওবায়দুর রহমান।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এক সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো নৃশংস গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ভয়াবহ ওই হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতা-কর্মী।