স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবে রূপ নিয়েছে। সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের এই স্বপ্নের পূর্ণ অবয়ব ফুটে উঠে গত বৃহস্পতিবার। আরও বেশকিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো শেষ হতে আরও প্রায় দেড় বছরের মতো লাগবে। ৬ হাজার ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি পুরোপুরি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি হচ্ছে এই পদ্মা সেতু। নির্মাণ ব্যয় যা-ই হোক, সেই অর্থ টোল আদায়ের মাধ্যমে তুলবে সরকার। সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি পারাপারে নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল আদায় করা হবে। সেই টোলের হার কত হবে- তারও একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। টোলের একটি প্রাথমিক হার নির্ধারণ করে প্রস্তাবনা দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)।
সেতু বিভাগের টোল প্রস্তাব অনুযায়ী, পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার হতে বাসে থেকে টোল আদায় করা হতে পারে ২ হাজার ৩৭০ টাকা। ছোট ট্রাকের জন্য ১ হাজার ৬২০ টাকা, মাঝারি ট্রাকের জন্য ২ হাজার ১০০ এবং বড় ট্রাক থেকে টোল ২ হাজার ৭৭৫ টাকা আদায় করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর প্রাথমিকভাবে ১৫ বছরের জন্য এই টোল আদায় করা হবে। প্রতি ১৫ বছর পরপর টোলের হার ১০ শতাংশ করে বাড়ানো হবে।
বর্তমানে দিনে ফেরি দিয়ে পদ্মা পার হতে হলে একটি বাসকে টোল দিতে হয় ১৪০০ টাকা। যদি বাসটিতে যাত্রী থাকে, তাহলে আরও ৪৫০ টাকা দিতে হয়। আর যদি বাসটি রাতে পাড়ি দেয় তাহলে আরও ৪৭০ টাকা দিতে হয়। সে হিসাবে, একটি যাত্রীবাহী বাসকে দিনের বেলা ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিলে টোল দিতে হয় মোট ১৮৫০ টাকা এবং রাতে দিতে হয় ২৩২০ টাকা। এ ছাড়া ট্রাক থেকে টোল আদায় করা হয় ১৮৫০ টাকা। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণের পর প্রতি টনে আরও ১৬০ টাকা করে টোল দিতে হয় ট্রাককে।
এছাড়াও ফেরিতে প্রাইভেটকারের টোল নেয়া হয় ৫০০ টাকা, মাইক্রোবাস থেকে ৮৫০ এবং মোটরসাইকেল থেকে ৭০ টাকা টোল আদায় করা হয়।