আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন সবারই থাকে। নীলাচল থেকে আকাশ ছোঁয়া না গেলেও মনে হবে আকাশ আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। মেঘের রাজ্যে হারিয়ে যাবার স্বপ্ন যদি কারো থাকে, তাহলে সে স্বপ্নও পূরণ হবে নীলাচলে গেলে। বর্ষায় সেখানে চলে রোদ আর মেঘের লুকোচুরি খেলা। শীতল পরশ বুলিয়ে শুভ্র মেঘ মুছে দেবে আপনার জীবনের সমস্ত ক্লান্তি।
নীলাচল থেকে এক নজরে বান্দরবান শহরের পুরোটা দেখা যায়। শহর থেকে নীলাচলের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। নীলাচলের কোল ঘেঁষেই তঞ্চঙ্গ্যা, মারমা ও ত্রিপুরাদের বসবাস। নীলাচলে দাঁড়ালে চারপাশে দেখা যাবে সারি সারি পর্বতমালা। মনে হবে আকাশ যেন নুয়ে পড়েছে পাহাড় চূড়ায়।
এখান থেকে চিম্বুক পর্বতমালা দেখা যায় খালি চোখেই। আর রাতে দেখা যায় বন্দরনগরী চট্টগ্রামের রহস্যময় আলো আঁধারির খেলা। বান্দরবান জেলা প্রশাসন নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রটি পরিচালনা করে। নীলাচলের প্রবেশ ফি জনপ্রতি ৫০ টাকা।
কীভাবে যাবেন:
বান্দরবান শহর থেকে মাহিন্দ্র থ্রি-হুইলার অথবা যে কোনো হালকা যানবাহনে নীলাচল যাওয়া যায়। মাহিন্দ্র থ্রি-হুইলারের ভাড়া যাওয়া-আসা ৪শ’ টাকা, জীপ ও মাইক্রোবাসের ভাড়া ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা।
এছাড়া সেখানে যেতে জেলা পরিষদের টোল পয়েন্টে থ্রি হুইলার গাড়িতে স্থানীয় পর্যটকদের জন্যে ৩০, অস্থানীয় পর্যটকদের জন্যে ৬০ টাকা। মাইক্রোবাস, পিকআপ, মিনি ট্রাক, কারসহ অন্যান্য হালকা যানবাহনে স্থানীয় পর্যটকদের জন্যে ৬০ ও অস্থানীয় পর্যটকদের জন্যে ১২০ টাকা টোল দিতে হয়।
খাবার ব্যবস্থা:
নীলাচলে আছে সুপরিসর ফরেস্ট হিল রেস্টুরেন্ট। এখানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্বাদের খাবার পাওয়া যায়।
নীলাচলে স্থানীয়দের ছোট ছোট দোকানে চা-নাস্তা ও মৌসুমী ফলমূল বিক্রি হয়।
থাকার ব্যবস্থা:
নীলাচলে এসকেপ রিসোর্ট নামের একটি বেসরকারি রিসোর্ট রয়েছে। সেখানে দিনপ্রতি দেড় থেকে তিন হাজার টাকায় থাকা যায়।