বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে রাষ্ট্রের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এই নির্বাচন যেন আটকে যায় সে জন্যই অ্যাটর্নি জেনারেল দুদিনের একদিনও আদালতে হাজির হননি।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) ছাত্র সংগঠন জাগপা-ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মওদুদ আহমদ এ কথা বলেন।
সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে দুটি রিটে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের ভূমিকা ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ বলে মন্তব্য করেছেন মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ একটা মামলার শুনানি হল। প্রথম দিন অ্যাটর্নি জেনারেল আসলেন না। তার পরের দিন আদেশের জন্য যখন মামলা উঠল, অ্যাটর্নি জেনারেল তখনো আসলেন না। এর অর্থ কী? এর অর্থ হল, সরকার চেয়েছে, স্থগিতাদেশ দিয়ে দিক। এ জন্যই অ্যাটর্নি জেনারেল যাননি।’ তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর ভূমিকাও ছিল দায়সারা।
মওদুদের প্রশ্ন, ঢাকার দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ কেন আপিল করল না। আপিল না করায় এটা প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের যোগসাজশে এই নির্বাচন করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, সরকার যদি সত্যিই নির্বাচন চাইত, তাহলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করত।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশে এই নির্বাচন আটকে গেছে।
সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের এমন একটা ভাব, যে স্থগিতাদেশ একটা স্থায়ী বিষয়, এর বিরুদ্ধে যেন আপিল করা যায় না। তাঁর দাবি আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়ে যেত। ফলে নির্বাচন হতো। অথচ দুই পক্ষই এখন হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে। তিনি বলেন, সরকার বুঝেছে নির্বাচনে হেরে যাবে, এ জন্য তারা আপিল করেনি। আর নির্বাচন কমিশনও যেহেতু ওই পথেরই পথিক তাই তারাও আপিল করেনি। মওদুদ মনে করেন, নির্বাচন চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ এখনো আপিল করতে পারে।
জাগপা-ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জাগপা সভানেত্রী রেহানা প্রধান, সহসভাপতি তাসমিয়া প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।