বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, এতদিন বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে, কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাতে কর্ণপাত করেনি। এখন তারাই হঠাৎ সেনা মোতায়েনের কথা বলছে। এতে তাদের কোনো দুরভিসন্ধি ও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি-না তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী শুধু কেন্দ্রের বাইরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য নিয়োগ করলে হবে না, তারা যাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শুক্রবার বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন :সরকারের ভূমিকা ও জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার যে বাজেট দিয়েছে তার বাইরে সুন্দর হলেও ভেতরে ফাঁকা। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বাজেট দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কিছুই নেই। এ বাজেট দিয়ে জনগণের কোনো উন্নয়ন হবে না। তিনি বলেন, বাজেটে দুর্নীতি কমানোর কোনো কথা বলা হয়নি। জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে, তা বলা হয়নি। সুশাসন প্রতিষ্ঠার কোনো কথা নেই।
বিএনপির এ নেতা চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের সমালোচনা করে বলেন, বিরোধী দল নির্মূল করতে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। অনেককে বাড়ি, রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে মাদক কারবারি সাজিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আদালত কি তাদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন? এসব হত্যার বিচার একদিন হবে।
আন্দোলন প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। শুধু ২০ দল নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে বিএনপিকে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ক্ষমতা নয়, গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনাই হবে তাদের লক্ষ্য। তিনি সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদেরই এটি ফিরিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংবিধানের দোহাই দিলে চলবে না। কারণ সংবিধান মানুষের জন্য, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বক্তব্য দেন।