বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শিক্ষার্থীদের ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’ চলাকালে ফেসবুকের লাইভ ভিডিওতে গুজব সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৪ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, এদিন নওশাবার আইনজীবী শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন করেন।
পরে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ দিদার হোসাইন এ আদেশ দেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে, তা তিনি জানতেন না। পূর্বের আদেশ আছে, আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি হাজিরা দিতে পারবেন। তাই তিনি আজ আদালতে আসেননি।
শুনানি শেষে বিচারক পূর্বের ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ২০৫ ধারা (ম্যাজিস্ট্রেট আসামির ব্যক্তিগত হাজিরার থেকে রেহাই) এর আদেশ বাতিল করেন।
একই সঙ্গে আগামী ধার্য দিনে আসামির উপস্থিতিতে অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য নতুন করে দিন দেন।
এর আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের পুলিশ পরিদর্শক শওকত আলী সরকার সম্প্রতি চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে উল্লখ করা হয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর জিগাতলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অন্যপক্ষের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক লাইভে এসে নওশাবা জানান, জিগাতলায় চারজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। একজনের চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে।
ওই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওইদিন জিগাতলায় এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। কাজী নওশাবা ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে জনসাধারণের অনুভূতিতে আঘাত করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনোর জন্য মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং প্রচার করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ (সংশোধনী) এর ৫৭ (২) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। গুজব সৃষ্টির অভিযোগে ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট উত্তরা থেকে নওশাবা আহমেদকে আটক করে র্যাব। এরপর ২১ আগস্ট ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনে মুক্তি পান তিনি।