সংবাদ সম্মেলনে রিজভী
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া

rizvi-press-conference
সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ফটো

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগার থেকে দেশবাসী ও দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন বলে জানান তিনি।

এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশবাসীসহ দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানান রিজভী।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, মিথ্যা, সাজানো ও জালনথি তৈরি করে সরকারের নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করা মামলায় তিনি জামিন পেলেও ঈদুল ফিতরের পূর্বেও তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। তার পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়নি।

তিনি বলেন, রাজনীতিতে যতই বাদানুবাদ থাক, দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল পছন্দমতো দেশনেত্রীর চিকিৎসা নিশ্চিত হবে ও ঈদুল ফিতরের পূর্বে দেশনেত্রী মুক্তি পাবেন। কিন্তু মূল মামলায় জামিন পাওয়ার পরও সরকার বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি আটকে দিয়েছে।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ৭৩ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার অমানবিকতার নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলো। অমানবিক ও নির্মম নিষ্ঠুরতার প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বড় বড় স্বৈরশাসকদেরও হার মানিয়েছেন শেখ হাসিনা।

‌তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি তো বন্দি থাকা অবস্থায় সব সুবিধা ভোগ করেছেন, পছন্দ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এমনকি শুধু বেসরকারি হাসপাতালেই নয় প্যারোলে মুক্তি নিয়ে তিনি দেশের বাইরেও চিকিৎসা নিয়েছেন।

রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রেখে, ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করতে না দিয়ে শেখ হাসিনা চরম প্রতিহিংসার খেলায় মেতে উঠেছেন। মানুষের চিকিৎসা একটি মানবিক বিষয়। অথচ সেটি নিয়েও নোংরা তামাশা শুরু করেছে সরকার। আসলে প্রধানমন্ত্রীর চোখে চিরকালই ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন। একক অপরিসীম ক্ষমতার মালিক হিসেবে টিকে থাকতেই তিনি জুলুমের পথ বেছে নিয়েছেন।

বিএনপির এ নেতা বলেন, ইতিহাস বড় নির্মম, ক্ষমতার দম্ভে, রাষ্ট্রীয় সব শক্তি ব্যবহার করে একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে যতই নিপীড়ণ করুন না কেন তাতে নিপীড়করাও নিরাপদ থাকবেন না। ক্ষমতার মসনদ চিরস্থায়ী নয়, বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বন্দি করে জনগণকে বঞ্চিত লাঞ্ছিত করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।

শেয়ার করুন