ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের দাবি করেছে বিক্ষোভকারীরা।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন মুসল্লীরা।
সমমনা ইসলামী দলগুলোর ব্যানারে মসজিদের গেটে এই বিক্ষোভ হয়। এ সময় মুসল্লিরা দিল্লির সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা দিল্লি হামলা আক্রান্ত মুসলিম ও মসজিদের ছবি সম্বলিত পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
বিক্ষাভকারীরা দিল্লির সাম্প্রদায়িক হামলার জন্য বিজেপি সরকারকে দায়ী করেন। এ জন্য ঢাকায় মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণ প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
এর আগে বিক্ষোভ ঘিরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে মিছিল বের করতে শেষ পর্যন্ত তারা বাধা দেয়নি।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে বিক্ষোভ বন্ধে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রার আল্টিমেটামের কয়েক ঘণ্টা পর রবিবার রাজধানী দিল্লিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সিএএ-বিরোধী মুসলিমদের ওপর সশস্ত্র হামলা শুরু করে আইনটির সমর্থকরা।
কয়েক দশকের মধ্যে দিল্লির নজিরবিহীন এই সাম্প্রদায়িক হামলায় নিহত হন কমপক্ষে ৩৪ জন। আহত হন সাড়ে তিন শতাধিক। আহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ জন গুলিবিদ্ধ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ‘হিন্দুয়োঁ কা হিন্দুস্তান’, ‘জয় শ্রীরাম’- এসব স্লোগান দিয়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মসজিদে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসি বাংলা জানায়, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে দেখা যায়। কোথাও আবার নিজ হাতে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙেছে পুলিশ।