প্রচ্ছদ জীবনযাপন দিনে অন্তত ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন

দিনে অন্তত ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন

গায়ে নিয়মিত রোদ না লাগালে রক্তে ভিটামিন ডি কমে যায়। ভিটামিন ডি ছাড়া আমাদের অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণ হয় না, ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিনড্রোমসহ আরও নানা রোগের সঙ্গে ভিটামিন ডির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। আবার সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্যানসারের জন্যও দায়ী। তাই বিশেষজ্ঞরা রোদে বেশি পুড়তে নিষেধও করেন। তাহলে কতটা রোদ আসলে ভালো?

: আমাদের ত্বকে রোদ পড়ার পর ভিটামিন ডি শোষিত হয় এবং যকৃৎ ও কিডনির মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায় পার হয়ে রক্তে উপকারী ভিটামিন ডি-এ রূপান্তরিত হয়। এই ভিটামিন ডি তখন ক্যালসিয়াম শোষণসহ নানা কাজে আসে। দুগ্ধজাত খাবার, সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম, কমলার রস ইত্যাদি কিছু খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। তাই এখন পর্যন্ত সূর্যের আলোই ভিটামিন ডির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও সস্তা উৎস। এ ছাড়া ত্বকের মেলানিন ও পরিবেশদূষণের কারণে আমরা ভিটামিন ডি কম পাই। তাই যথেষ্ট ভিটামিন ডি পেতে হলে রোদে প্রতিদিন একটু-আধটু বের হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

: দুপুরের খাড়া রোদে অতিবেগুনি রশ্মি বেশি। এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। বলা হয়, সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত যতক্ষণ ছায়া ছোট থাকে, ততক্ষণ সূর্য অতিবেগুনি রশ্মি বেশি ছড়ায়। এই সময়ের আগে বা পরে প্রতিদিন ২০ মিনিট রোদে হাঁটাহাঁটি করলে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে কোনো ক্ষতি ছাড়া।

: অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ত্বকে সানস্ক্রিন লাগিয়ে রোদে হাঁটাহাঁটি করা যায়। অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব আমাদের মতো তামাটে বা কালো ত্বকে কিছুটা কম। সানস্ক্রিন লাগালে ভিটামিন ডি কম পাওয়া যাবে, এ ধারণাও ভুল। সবচেয়ে ভালো হলো যখন রোদ নরম থাকে (ভোর ও বিকেল) হাত-পায়ের কিছু অংশ অনাবৃত করে গায়ে রোদ লাগানো।

শেয়ার করুন