মিনারুল হক, বান্দরবান ॥ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত নেয়া হবে এমন খবরের পর সেখান থেকে পালাতে শুরু করেছে তারা। মঙ্গলবার রাতে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার পাশ থেকে এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা সরে গেছে। বিজিবি অভিযান চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া বেশ কিছু রোহিঙ্গাকে আটক করতে সক্ষম হলেও অধিকাংশই কুতুপালং শরনার্থী শিবির ও বাংলাদেশের বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি ও পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে হঠাৎ করে রোহিঙ্গাদের পালানোর ঘটনায় সীমান্তে বিজিবি টহল জোরদারের পাশাপশি নিরাপত্তাও বাড়িয়েছে।
জিরো লাইনে অবস্থানকারী প্রায় ৬ হাজার রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল মায়ানমারের মংডু জেলার ঢেকিকুনিয়া সীমান্ত পরিদর্শন করে। সেখানে প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মাণকৃত আশ্রয় কেন্দ্র ও তাদের গ্রামগুলো ঘুরে দেখে। জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের মায়ানমার সরকার খুব শীঘ্রই তাদের গ্রামগুলোতে ফিরিয়ে নেবে, বিভাগীয় কমিশনার মায়ানমার ঘুরে এসে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানানোর পর রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার রাতেই নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনে থেকে পালাতে থাকে রোহিঙ্গারা। তবে বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা বলছেন মায়ানমারে আপাততঃ পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এবং শীঘ্রই প্রথম দফায় জিরো লাইনের রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য মায়ানমার কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে।