ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়ার সময় উদ্ধার করেছেন স্থানীয় লোকজন।
২৪ জুন সোমবার রাতে নান্দাইলের কালীগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর তরুণীকে (২২) নদীতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ চার যুবকের বিরুদ্ধে।
পরে কালীগঞ্জ বাজারের একটি ক্লাবঘর থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তরুণীর ভাষ্য, তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। বাবা দিনমজুর। মোবাইল ফোনে শামীম নামের এক তরুণের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। কালীগঞ্জ বাজারের রাফি মার্কেটে শামীমের একটি দরজির দোকান আছে। সোমবার রাতে বিয়ে করার কথা বলে তাঁকে নিজের দোকানে নিয়ে আসেন শামীম। গভীর রাতে সেখানেই শামীমসহ চারজন তাঁকে ধর্ষণ করেন।
মেয়েটির ভাষ্য, কান্নাকাটি করলে গভীর রাতে তাঁকে শামীম বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে দোকান থেকে বের করেন। এরপর অপর তিন সহযোগীকে নিয়ে তাঁর হাত-পা-মুখ বেঁধে নদীতে ফেলার চেষ্টা করেন।
এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলে স্থানীয় একজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে একটি ক্লাবঘরে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে থাকা অন্য দুজন হলেন রিপন মিয়া ও মো. হাবিব। আরেকজনের নাম জানেন না মেয়েটি।
নান্দাইল থানার এসআই লিটন মিয়া বলেন, মেয়েটির বাবাকে মামলা করতে বলা হয়েছে।