বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়। অনলাইনে নয় বরং সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বণ্টনেও পরিবর্তন আসছে। বিগত বছরগুলোতে ২০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হলেও এ বছর ১০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিক্ষা অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষা ২০০ নম্বর হলেও এবার পূর্ণমান থাকবে ১০০। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক থেকে রেজাল্টের উপর ৮০ নম্বর থাকলেও সেটি কমিয়ে ২০ নম্বর করা হয়েছে। আর এমসিকিউ নম্বর ৭৫ থেকে ৩০ করা হয়েছে। এছাড়া লিখিত পরীক্ষার নম্বর থাকবে ৫০। সবমিলিয়ে ১০০ নম্বরের উপর ভর্তিচ্ছুদের মেধাক্রম তৈরি করা হবে। এছাড়াও সভায় অনলাইন মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার বিপক্ষে মত দিয়েছেন ডিনবৃন্দ। এর পরিবর্তে বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা হতে পারে। অর্থাৎ পরীক্ষার্থী যে বিভাগে বসবাস করে সেখান থেকেই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এজন্য তাকে ঢাকায় আসতে হবে না। ডিসেম্বরে এসএসসি পরীক্ষা ফল প্রকাশ হওয়ার পরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
মাকসুদ কামাল বলেন, রিটেন পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ পরীক্ষাটি ১০০ নম্বরের হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ওপর থাকবে ২০ শতাংশ নম্বর। বাকি আশি শতাংশ নম্বরের মধ্যে ৩০ এমসিকিউ এবং লিখিত ৫০।
সাদেকা হালিম জানান, ‘‘আমরা ভর্তি পরীক্ষা নেব। এ বিষয়ে সব অনুষদের ডিন মতামত দিয়েছেন। ডিসেম্বরে (এসএসসির) ফল প্রকাশেরর পর করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে।’’
অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে মত দেননি কোনো ডিনই। অধ্যাপক সাদেকা হালিম জানান, ‘‘অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে কোন ডিনই মত দেননি। আমরা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা গ্রহণ করব। যেমন: খুলনার পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা খুলনা বিভাগেই হবে, যাতে তাদের ঢাকায় আসতে না হয়। গুণগত মান ধরে রাখার জন্য আমরা এসএসসির ফলাফল দেখব এবং সেখান থেকে কীভাবে মূল্যায়ন করা যায় সে পদ্ধতি নিয়ে আরও বৈঠক করে আলোচনা করব। এসব সিদ্ধান্ত একাডেমিক কাউন্সিলে চূড়ান্ত হবে।’’