বিশেষ প্রতিবেদক।। চুরি হয়ে যাওয়া মোটরবাইকের খোঁজ পেতে বান্দরবান সদর ট্রাফিক অফিসে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা। বৃহষ্পতিবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে আটক করা ২৩টি মোটরবাইকের মধ্যে বেশ কয়েকটি চোরাই গাড়ি থাকতে পারে বলে ধারনা করছেন তাঁরা।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ৩৬টি যানবাহন আটক করেছে ট্রাফিক বিভাগ। ১৬ আগষ্ট দিনব্যাপী অভিযানে বাইশারি বাজার ও আশপাশের এলাকা থেকে এসব যানবাহন আটক করা হয়। এর মধ্যে ৩৩টি মটরবাইক, ২টি জীপ ও ১টি ডাম্পার ট্রাক রয়েছে। পরে কাগজপত্র যাচাই করে বিভিন্ন মাত্রার জরিমানার মাধ্যমে ১০টি মটরবাইক ছেড়ে দেয়া হলেও ২৬টি যানবাহনের এখনো কেউ বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পুলিশের ধারনা এগুলো চোরাই মটরবাইক।
বান্দরবান সদর ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক সালাহউদ্দীন মামুন জানান, দেশব্যাপী ফিটনেসবিহীন এবং চোরাই যানবাহনের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে বান্দরবান সদর ট্রাফিক বিভাগ, লামা থানা, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা এবং বাইশারি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহায়তায় দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে এসব যানবাহন আটক করা হয়েছে। আটকের পর সেগুলো বাইশারি তদন্ত কেন্দ্রে রক্ষিত আছে। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে মালিকদের কাছে সেগুলো হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরো জানান, ইতোপূর্বে যাদের মটরবাইক চুরি হয়েছে তারা চাইলে বান্দরবান সদর ট্রাফিক অফিসে গিয়ে আটককৃত গাড়িগুলোর ইঞ্জিন নাম্বার ও অন্যান্য বিবরণ যাচাই করে দেখতে পারেন। এছাড়া বাইশারি তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে নিজের চুরি হয়ে যাওয়া বাইক সনাক্ত করতে পারলেও প্রকৃত মালিকদের বাইক ফেরত পাবার ব্যাপারে সাহায্য করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন লামা উপজেলার ফাইতং, আজিজনগর, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও ঘুনধুম ইউনিয়নে অভিযান চালালে আরো বেশ কিছু চোরাই মোটরবাইকের সন্ধান মিলতে পারে।