কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণকারীদের জন্য হাসপাতাল চত্বরে অপেক্ষাগার স্থাপন করেছে বান্দরবান জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিট।
২৭ জুলাই মঙ্গলবার ১০০ আসনবিশিষ্ট অস্থায়ী অপেক্ষাগারটি স্থাপন করা হয়। অপেক্ষমান টিকাপ্রার্থীদের সুবিধার জন্য দেয়া হয়েছে ৩টি স্ট্যান্ড ফ্যান। এছাড়া সেখানে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন যুব রেডক্রিসেন্ট এর স্বেচ্ছাসেবকরা।
২৮ জুলাই মঙ্গলবার সকালে অপেক্ষাগারে টিকা গ্রহণের অপেক্ষায় থাকা পুন রতন তঞ্চঙ্গ্যা জানান, আগে শুনেছি হাসপাতালের ভেতর খুব ভিড় হয়। সবাই গাদাগাদি করে টিকার জন্য অপেক্ষা করে। এখন দেখলাম খুব সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা হয়েছে।

আরেক টিকাপ্রার্থী ক্যচিং মং মারমা জানান, এভাবে বসার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে। রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা সবাইকে সহায়তা করছেন।
সম্প্রতি টিকার সরবরাহ বৃদ্ধির পর টিকাপ্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেলে হাসপাতালে ব্যাপক জনসমাগম এবং বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। কখনো প্রচন্ড গরম, কখনো বৃষ্টির কারণে হাসপাতাল ভবনের বাইরে অপেক্ষা করতে না পেরে সবাই হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে ভিড় করতে শুরু করেন। এতে শারিরীক দূরত্ব বজায় না থাকায় কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। টিকা কার্যক্রমেও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ফেইসবুক গ্রুপ ‘বান্দরবানবাসী’র পক্ষ থেকে জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সেক্রেটারি অমল কান্তি দাশ-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এরপর মঙ্গলবার থেকে একশ’ টিকাপ্রার্থীর বসার জন্য অস্থায়ী অপেক্ষাগার স্থাপন করেছে জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিট।
সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু জানান, টিকা কার্যক্রমে গতি ও শৃঙ্খলা আনতে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকা গ্রহণের রেজিস্ট্রেশন করার পর মোবাইল ফোনে মেসেজ এলে তবেই টিকা নিতে আসার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।