ব্যবসা-বাণিজ্য, সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক নানা কারণে আমরা বিভিন্ন সময় ‘উকিল নোটিশ’ বা লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর কথা শুনি। কিন্তু এই ‘উকিল নোটিশ’ আসলে কী? কেনইবা এই নোটিশ দেয়া হয়, কাকে দেয়া হয়, কীভাবে দেয়া হয়? এসব কথা জানিয়েছেন আইনজীবি সুব্রত সাহা।
লিগ্যাল নোটিশ কী?
Notice শব্দের অর্থ সতর্কীকরণ এবং সংবাদজ্ঞাপন। তাহলে, সাধারণত Legal Notice (লিগ্যাল নোটিশ) বলতে বোঝায়, যখন নোটিশদাতা একজন আইনজীবীর মাধ্যমে কোন নোটিশগ্রহীতাকে অর্থাৎ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন অভিযোগ জানায়, বা, দায়িত্ব পালনের জন্য আহবান জানায়, বা, কোন অধিকার খর্ব হয়েছে কিংবা হবার উপক্রম হয়েছে সেটা জানায়, এবং দায়িত্ব পালন বা অধিকার সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হলে তর্কিত বিষয় নিয়ে মোকদ্দমা দাখিল করার আগাম বার্তাও জানায়। লিগ্যাল নোটিশকে উকিল নোটিশ, আইনী নোটিশ ও আইনী বিজ্ঞপ্তিও বলা হয়।
মনে রাখবেন লিগ্যাল নোটিশ বা উকিল নোটিশ কোন মামলা নয়। লিগ্যাল নোটিশকে মামলা বা কোন আইনী প্রক্রিয়ার পূর্ব পদক্ষেপ বলা যেতে পারে।
লিগ্যাল নোটিশ দেবার জন্য কী লাগেঃ
লিগ্যাল নোটিশ দিতে হলে-
- আপনার পূর্ণ নাম, পিতার নাম ও ঠিকানা
- যার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাবেন তার পূর্ণ নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর (যদি সম্ভব হয়)
- ঘটনার পূর্ণ বিবরণ (তারিখ, ঘটনার স্থান, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম ইত্যাদি)
- ঘটনার সমর্থনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- এসব তথ্য সাথে নিয়ে একজন আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন। তার সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
লিগ্যাল নোটিশ কাকে দেওয়া যায়ঃ
লিগ্যাল নোটিশ বা উকিল নোটিশ যে কোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া যায়। এখানে কোন সীমাবদ্ধতা রাখা হয়নি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বিগত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে গ্রামীণফোনের অধিকাংশ শেয়ারের মালিক টেলিনর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বরাবর লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে।
লিগ্যাল নোটিশ দিতে কত টাকা লাগেঃ
লিগ্যাল নোটিশ লিখতে কত লাগবে সেটা নির্ভর করবে আইনজীবীর ওপর। সাধারণত ঘটনার জটিলতা, গুরুত্ব ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে একজন আইনজীবী তার ফী নির্ধারণ করেন।