চাঁদাবজির অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়ে স্ত্রী সন্তানদের সাথে খুশি মনে বাড়ি ফিরেছেন বান্দরবান জেলা ফুটবল দল ও বিজেএমসির ফুটবলার অংথোয়াইচিং মার্মা।
সোমবার ( ৭ জুলাই) বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলাম তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এসময় ওই মামলার অপর আসামি ওয়াসিম ত্রিপুরাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলায় অভিযুক্ত ফুটবলার অংথোয়াইচিং এর পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন আইনজীবি খলিলুর রহমান ও ইকবাল করিম ।
জামিন শেষে অাইনজীবি খলিলুর রহমান জানান, দ্রুত বিচার আইনে করা মামলায় ফুটবলার অংথোয়াইচিং এর ব্যাপারে বিস্তারিত শুনে আদালত জামিন দিয়েছেন। আমরা আদালতকে বোঝাতে পেরেছি যে, অভিযুক্ত অংথোয়াইচিং চাঁদাবাজির ঘটনায় কোনভাবেই জড়িত ছিলো না, তিনি পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছেন।
গতকাল রবিবার দুপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বান্দরবান বাজারের বনফুলের সামনে থেকে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হন কালাঘাটার বাসিন্দা ওয়াসিম ত্রিপুরা এবং ফুটবলার অংথোয়াইচিং। পরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী এইচ এম সম্রাট বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
জামিনে বেরিয়ে অংথোয়াইচিং বলেন, বাজারের বনফুলের সামনে এক পাহাড়ি ছেলেকে এক ব্যক্তি মারধর করছে দেখে এগিয়ে গেলে সেখান থেকে আমাকে আটক করে পুলিশ। পরে জানতে পারি মারধরের স্বীকার ছেলেটি চাঁদাবাজ ছিলেন। আমি চাাঁদাবাজির ঘটনায় কোনভাবেই জড়িত নই।
জামিন শুনানীর সময় আদালত প্রাঙ্গনে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলাম বেবী, ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির সভাপতি মো. নাছির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক মংওয়াইচিংসহ জেলা ফুটবল দলের সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা উপস্থিত ছিলেন।