ছয় মাসের জন্যে সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়েছে বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।
বুধবার বিকেলে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেল থেকে গুলশানের বাসভবনের দিকে রওনা হন।
সোয়া ৪টার দিকে তিনি রমনা থানা পুলিশের নিরাপত্তায় একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে গুলশানের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এর আগে দুপুরের পরে তাকে আনতে বিএসএমএমইউতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবীব-উন-নবী খান সোহেল, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী আবদুস সাত্তার।
এ সময় স্বজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বোন সেলিমা ইসলাম ইসলাম। এছাড়া করোনা আতঙ্কের মধ্যে দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সেখানে জড়ো হয়েছিলেন নেতাকর্মীরাও।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার।
এই সময়ে তার ঢাকায় নিজের বাসায় থাকতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না- এমন শর্তে তাকে মুক্তি দেয়া হলো।
দুর্নীতির দুটি মামলায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। তার মধ্যে গত ১১মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে আইনী প্রক্রিয়া ও আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তাকে মুক্ত করার চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি।
অবশেষে খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী।