আজকাল অনেকেই শিশুর বয়স কয়েক মাস হলেই গরুর দুধ খাওয়াতে শুরু করেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর বয়স ৬ মাস না হওয়া পর্যন্ত তাকে মায়ের দুধ ছাড়া কিছুই খেতে দেওয়া ঠিক নয়। এরপর থেকে ১ বছর পর্যন্ত অল্প করে গরুর দুধ দেওয়া যেতে পারে। আর বয়স ১ বছর পার হলে শিশুকে বুকের দুধের পরিবর্তে পুরোপুরি গরুর দুধ খাওয়ানো যায়।
তবে যেহেতু প্রতিটা শিশুর শারীরিক চাহিদা ভিন্ন এ কারণে খাদ্যতালিকায় যেকোন পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত। শিশুর বয়স ১ বছর না হলে গরুর দুধ খাওয়ানো যাবে না কারণ ওই বয়সের আগে শিশুর হজমশক্তি সেভাবে তৈরি হয় না। এ জন্য নবজাতককে গরুর দুধ খাওয়াতে নিষেধ করেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, ১ বছরের আগে যদি শিশুদের গরুর দুধ খাওয়ানো হয়, তাহলে এতে থাকা প্রোটিন এবং খনিজ হজম করতে না পেরে শিশুর কিডনির সমস্যা, অ্যালার্জি, ডায়ারিয়া, পেটের রোগ, বমি এবং রক্তশূন্যতা দিতে পারে।
১ বছর পার হলে শিশুর হজম ক্ষমতা একটু একটু করে বাড়তে থাকে। তখন গরুর দুধ খেলে এতে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান শিশুর হাড় এবং দাঁত গঠনে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্ত প্রবাহ ভাল করার পাশপাশি পেশীর গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।এছাড়া গরুর দুধে উপস্থিত ভিটামিন-ডি শিশুকে সুস্থ-সবল রাখতে সহায়তা করে। যেহেতু গরুর দুধে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকে এ কারণে শিশুরা গরুর দুধ খেলে বড় হয়ে তাদের হাড়ের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ , কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।