বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ছয় বছর আগে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের সহকারি শিক্ষক মজিবুল হক ২০১৩ সালে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি অশোভন অবস্থায় ওই ছাত্রীর সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। সম্প্রতি ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শিক্ষা প্রশাসন, ওই ছাত্রী ও তার পরিবার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ঘুমধুম এলাকাবাসী মজিবুল হকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জনপ্রতিনিধিরা ওই অভিযোগের বিষয়টি সত্যায়ন করে তদন্তের জন্য সুপারিশ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত মাসে মজিবুল হকের বিরুদ্ধে আরেক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলে ২০১৩ সালে অশোভন অবস্থায় তোলা ছবি কে বা কারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দীল মোহাম্মদ বলেন, ২০১৩ সালে শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীকে অন্য বিদ্যালয়ে সরিয়ে নিতে হয়েছে। গত রমজানের বন্ধে মজিবুল হক আরেক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর নামে শ্লীলতাহানি করেছেন। এ জন্য তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে সহকারি শিক্ষক মজিবুল হককে পাওয়া যায়নি। প্রধান শিক্ষক ও মজিবুল হকের বড় ভাই হামিদুল হক বলেন, তারা দুই ভাই একই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এ জন্য অনেকের চক্ষুশূল হয়েছে। না হলে ছয় বছর আগের ঘটনার অভিযোগে কাউকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা না।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, মজিবুল হকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হবে। তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে আশঙ্কায় প্রধান শিক্ষক হামিদুল হককে অন্য বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।