সম্মেলনের দীর্ঘ আড়াই মাস পর ঘোষিত ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে শীর্ষ পদে আসা নেতাদের নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের পর এবার সারাদেশের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জিজ্ঞাসা নতুন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া কে এই গোলাম রাব্বানী? গোলাম রাব্বানীর বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। তিনি সদ্য বিদায়ী সাইফুর রহমান সোহাগ-এসএম জাকির হোসাইনের কমিটির শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
আর তার আগে এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ-সিদ্দিকী নাজমুল আলমের কমিটিতে উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ছিলেন রাব্বানী।
গোলাম রাব্বানী পারিবারিকভাবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান। গোলাম রাব্বানীর মা মরহুমা তাছলিমা বেগম ছিলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও স্থানীয় ইশিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম সামশুল হক মুন্সীর বড় মেয়ে। মরহুম সামশুল হক মুন্সী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর এবং শেখ পরিবারের একজন অন্যতম সুহৃদ। মাদারীপুর অঞ্চলে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় সামশুল হক মুন্সীর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। গোলাম রাব্বানীর মা তাছলিমা বেগম ছিলেন রাজৈর কলেজ ছাত্রলীগের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক (১৯৮৩-১৯৯১)। তিনি নব্বয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও এ এলাকায় ছাত্রলীগকে সংগঠিত করার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। গোলাম রাব্বানীর মা তাছলিমা বেগম গত ১৯ জুলাই আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। ছেলের বর্তমান অবস্থানটা তিনি দেখে যেতে পারলেন না।
অপরদিকে গোলাম রাব্বানীর বাবা এম এ রশিদ আজাদ ভূমি মন্ত্রালয়ের অধীনে কারিগরি কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে ফরিদপুরে কর্মরত রয়েছেন। এর আগে তিনি রাজৈর কেজেএস হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। গোলাম রাব্বানীর একমাত্র ছোট ভাই গোলাম রুহানী (সবুজ) ৩৫তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডার মনোনীত হয়েছেন। এর আগে তিনি ৩৪তম বিসিএসে আনসার ক্যাডার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। পিতার চাকরির সুবাধে গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ীতে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে ভর্তি হন ঢাকার উত্তরা রাজউক মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে। সেখান থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে এ প্লাস পেয়ে উত্তীর্ণ হন। উত্তরা রাজউক মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনাকালে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ২০০৭/২০০৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে।