চীনের কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোয় শিক্ষকের সহকারী হিসেবে কাজ করছে রোবট। ওই রোবট শিক্ষক শিশুদের নানা ধাঁধার উত্তর মেলানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় শেখাচ্ছে। এ রোবটের মুখের জায়গায় একটি স্ক্রিন বসানো রয়েছে। গোলাকার ও ছোট আকৃতির রোবটটির স্ক্রিনে নানা দৃশ্য দেখিয়ে শিশুদের পড়ানো হয়।
রোবটটি উচ্চতায় দুই ফুটের মতো। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলাচল করতে পারে। শিশুদের মজার গল্প শোনানো ও বিভিন্ন যৌক্তিক সমস্যার সমাধান করতে শেখায় এটি।
রোবটটির ছোট চাকা আছে, কিন্তু হাত নেই। এ চাকায় করে এটি ঘুরে বেড়ায়। এতে থাকা বিল্টইন ক্যামেরা প্রযুক্তি একে দিকনির্ণয় ও চলাচলে সাহায্য করে। এ ছাড়া এর সামনে থাকা ক্যামেরায় ভিডিও জার্নাল রেকর্ড করা যায়।
চীনে নানা রকম রোবট তৈরি করা হয়। পণ্য সরবরাহ, বয়স্কদের সঙ্গ দেওয়ার মতো রোবট সেখানে আছে। এবার কিকো রোবট শিক্ষার কাজে ব্যবহার শুরু হচ্ছে।
সম্প্রতি বেইজিংয়ের ইশিউইন্ড ইনস্টিটিউট অব মাল্টিকালচার এডুকেশন সেন্টারে শিশুদের এমন একটি রোবট দিয়ে পড়াতে দেখা যায়। শিশুদের গল্প বলা ও সমস্যা সমাধানের বিষয়টি শেখায় রোবটটি। শিশুদের কাছ থেকে সঠিক উত্তর শোনার পর আনন্দের প্রতিক্রিয়া দেখায় এটি।
কিকো রোবট শিয়ামেন টেকনোলজিতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন ক্যান্ডি শিওং। তিনি বলেন, এখন শিক্ষা আর একমুখী রাস্তার মতো নয়। শিক্ষক শেখাবে আর শিক্ষার্থীরা শিখবে, বিষয়টি সে রকম নয়। কিকোকে দেখে একটা আদুরে প্রাণী বলে মনে হবে। তারা একে পছন্দ করবে।
চীনে প্রায় ৬০০ কিন্ডারগার্টেনে কিকো রোবট ব্যবহার শুরু হয়েছে। এখন চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে এর ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন নির্মাতারা।