বিশেষ প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি – পায়ে শেকল বেঁধে শ্রমিকদের আটকে রাখা এবং কাজে বাধ্য করার অভিযোগে এক ইটভাটার ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ। খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার আমতলী এলাকায় ওই ইটভাটার মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।
ভুক্তভোগীরা জানান, মাটিরাঙ্গার ১০ নম্বর মুসলিম পাড়ার মৃত ফয়েজ আহমদ বক্সের ছেলে হেলাল মিয়া ও সুরুজ আলীর ছেলে আলাল হোসেন গুইমারার আমতলী পাড়ায় যান ভাটা শ্রমিকের কাজ করতে। করোনা সংক্রমণের ভয়ে তারা কাজ না করে বাড়ি ফিরতে চাইলে মালিক পক্ষের লোকজন তাদের বকেয়া মজুরি দিতে অস্বীকৃতি জানান।
এক পর্যায়ে ভাটার একটি শেডে দুইজনকে পায়ে শিকল বেঁধে আটকে রাখা হয়। দীর্ঘদিন খোঁজখবর না পেয়ে গত মঙ্গলবার তাদের সন্ধানে ভাটায় যান হেলাল মিয়ার ভাই। তখন অন্য শ্রমিকদের কাছ থেকে দুইজনকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখার খবর জানতে পারেন তারা। এরপর সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।
গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের মালিকানাধীন ফোর স্টার ব্রিক ফিল্ডে শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনা শুনে আমরা শ্রমিকদেরকে উদ্ধার করেছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। মাহবুব হোসেন নামের ইটভাটা ম্যানেজারেক আটকও করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শ্রমিকের স্বজনেরা জানান, ইটভাটার মালিক জাহাঙ্গীর আলমের নাম মামলা থেকে বাদ দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত একজন বাদে বাকিরা পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ভাটা মালিক জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গুইমারা উপজেলায় স্থাপিত ৫ টি ইট ভাটার সবকটিই অবৈধ। যার কোনটিতে নেই শ্রমিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। কৃষি জমি, পাহাড় টিলার মাটি কেটে এবং বনাঞ্চল ধ্বংস করে চলছে এসব ইটভাটা।