বাংলার বর্ষপঞ্জি থেকে বিদায় নিয়েছে কার্তিক মাস। গতকাল বুধবার থেকে অগ্রহায়ণ শুরু। এ সময় শীতটা একেবারে দোরগোড়ায় থাকে। হেমন্তের আকাশ থাকে হালকা সাদা মেঘে ভরা। কিন্তু এখন সেই আকাশ অনেকটা ভারী মেঘে ঢাকা। মেঘ থেকে ঝরছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে এভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি আরও দু-এক দিন থাকতে পারে। বৃষ্টি চলে গেলে জেঁকে বসতে পারে শীত।
শীতের তীব্রতা না থাকলেও প্রকৃতি মেঘলা রূপ ধারণ করায় গরম অবশ্য খানিকটা কমেছে। গতকাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। লঘুচাপের প্রভাবে দেশে বেশির ভাগ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। এ কারণে রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে।
গতকাল সকালে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজকালের মধ্যে আকাশ মেঘমুক্ত হচ্ছে না বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই লঘুচাপের কারণে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এটি আরও দু-এক দিন হবে।